বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করলে বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা আর আপনাকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চায় না। হয় আপনি পদত্যাগ করুন, না হলে ছাত্র-জনতা বঙ্গভবন ঘেরাও করে হাসিনার মতো পালাতে বাধ্য করাবে।
ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, সব জায়গা থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের বিদায় করতে হবে। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্র-জনতার এই স্পিরিট নতুন বাংলাদেশ গঠনের আগ পর্যন্ত থাকবে। ৭২ এর ফ্যাসিবাদী সংবিধান বাতিল করে, নতুন সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, কী খেয়ে, কার কথা শুনে, মানসিক অবস্থার কোন পর্যায়ে গিয়ে, এখন মুখ দিয়ে কার চক্রান্ত উচ্চারণ করছেন যে, আপনার কাছে পদত্যাগপত্র নাই। আমরা ফ্যাসিস্ট চুপ্পুসহ সব ফ্যাসিস্ট দোসরদের একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা যদি বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ও খুনিদের কোনো উৎপাত লক্ষ্য করি ছাত্র-জনতা ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে।
এ সময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদেরও দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্ট বার্তা দিতে চায়, আমরা চোখ দিতে প্রস্তুত, পা হারাতে ও রক্ত দিতেও প্রস্তুত। জীবন দিয়ে হলেও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামধারী ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করতে আমরা আমৃত্যু লড়াই করবো।
এ সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করলে বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক। তিনি বলেন, সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিপ্লব চলবে।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে